DETAILS, FICTION AND রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন

Details, Fiction and রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন

Details, Fiction and রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন

Blog Article

পূর্ব ও পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের অবস্থা ও পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের অটুট থাকা : এসবই ছিল পূর্ব আর পশ্চিম দিকের সাম্রাজ্যের পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ দিক। এসব বিষয়ের উপরে দুই অংশের রীতিনীতির পার্থক্যও পরিষ্কার হয়। প্রথম থিওডােসিয়াসের মৃত্যুর পর থেকে দেড় শতাব্দী পর্যন্ত পুরাে সাম্রাজ্য যেন মৌখিকভাবে জার্মানদের হাতেই চলে গেল। এই আগ্রাসন ততদিন পর্যন্ত চলল যতদিন রােমানরা নিজের থেকে পুরােপুরি জার্মান সংস্কৃতি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি না জানাল। পূর্বদিকে বলতে গেলে জার্মানদের মারাত্মকভাবে ঠেকানাে হচ্ছিল। রুফিনাসের মৃত্যুর পর থেকে উচ্চতর পদে জার্মানদের বসানাের মানুষেরা নিজেদের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার টানাপােড়েন অনুভব করছিল যতদিন না প্রথম লিওর নির্দেশে বেশিরভাগ নিয়ােগ হয়েছিল ইসাউরিয়ানদের মধ্যে থেকে এবং সেই প্রদেশে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে থেকে। নিজেদের লােকদের নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করা হলাে যেন তারা বাইরের শত্রুকে মােকাবেলা করতে পারে। এভাবেই পূর্বদিকের সাম্রাজ্যকে অটুট রাখার চেষ্টা চালানাে হচ্ছিল এবং সেটি অন্তত সংস্কৃতির দিক থেকে পরবর্তী কয়েক হাজার বছরেও অটুট ছিল।

কনসাল হিসেবে সিপিও : সিপিও রােমের সর্বকালের বীর সেনাপ্রধান হিসেবে ফেরত এসেছিলেন, তার প্রতিপক্ষ হ্যানিবলকে পরাজিত করে। তাকে ‘আফ্রিকানুস’ নাম দেয়া হলাে। আর তখন থেকেই তিনি সিপিও আফ্রিকানুস বলে পরিচিত। সে যাই হােক, সিনেটের বয়স্ক সদস্যগণ সিপিওর তারুণ্য এবং প্রাণময়তাকে ভালাে চোখে দেখতেন না, যখন সিপিওর কাজকর্মে প্রাচীনপন্থী হিসেবে অনেক বিব্রত বােধ করতেন। তাই তার পর থেকে তিনি রােমান শাসনে বড়ােসড়াে কোনাে ভূমিকা রাখতে পারেননি।

গ্রিক সংস্কৃতির বহুল প্রসারে এবং প্রচারে এটাই ছিল খুব স্বাভাবিক যে বেশিরভাগ রােমান তখন ফিলিপকে অপছন্দ করতে শুরু করল কারণ ফিলিপ ছিল গ্রিকদের ধ্বংস করার জন্য এক পায়ে খাড়া। আর এভাবেই ফিলিপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কিংবা তাকে শূলে চড়ানাে যেন গ্রিক কৃষ্টির সপক্ষে এক যুদ্ধ হয়ে দাঁড়াল।

রাজা টুলুস হস্টিলিয়াস ও এট্রুসকানদের সাথে সম্পর্ক : খিস্টপূর্ব ৬৭৩ সালে নুমা পম্পিলিয়াস মারা গেলে টুলুস হস্টিলিয়াস তৃতীয় রাজা হিসেবে নির্বাচিত হন। তার শাসনামলে রোম চতুর্থ আরেকটা পাহাড়ে রাজত্ব বিস্তার করতে সক্ষম হয়, যে পাহাড়ের নাম ছিল সিলিয়ান পাহাড়, পাহাড়টা ছিল প্যালেটাইনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। সিলিয়ান পাহাড়ে টুলুস তার রাজপ্রাসাদ বানিয়েছিল। ততদিনে ল্যাটিনিয়াম নগরগুলোর মধ্যে রোমের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। টিবার নদীর তীরবর্তী অবস্থানের জন্য সেখান থেকে ব্যবসাবাণিজ্য খুব ভলোভাবে হতে পারত, যা নগরটাকে দ্রুত উন্নতির দিকে নিয়ে গেল। তার ওপরে নদীর অন্য দিকে এট্রুসকানদের সভ্য নগরী থাকায় রোম যতটুকু পেরেছে সেখান থেকে more info গ্রহণ করার চেষ্টা করেছে। আর রোম নগরের মধ্যেও বহু এট্রুস্কান থাকায় তাদের পুরোনো নগরের সঙ্গে রোমের সম্পর্ক ভালো থকার প্রয়াস পেয়েছে। তাদের কারণেই নিজেদের মধ্যে শর্ত বা সমঝোতায় সুবিধা হতো আর দুই নগরই বুঝত যে দরজার বাইরে বসে থাকা শত্রুর সঙ্গে খামোখা লড়ে লাভ নেই। কিন্তু তারপরেও, নিজেদের সুরক্ষার খাতিরে রোমানরা বরাবর একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব বজায় রাখত।

ম্যাক্সিমিনাস, তিন গর্ডিয়ান ও আরবের ফিলিপের শাসন (রা. ২৩৫ – ২৪৯ খ্রি.)

• অক্তাভিয়ানের আউগুস্তুস উপাধি গ্রহণ

গ্র্যাকাই বা গ্র্যাকাস ভ্রাতৃদ্বয়ের ব্যর্থ সংস্কার প্রচেষ্টা

হানদের নেতা অ্যাটিলার পরাজয়, ঈটিয়াস ও তৃতীয় ভ্যালেন্টিনিয়ানের মৃত্যু

সিংহাসনে আরোহন : সম্ভবত ১০৬ খ্রিস্টাব্দে ট্রাজান তার উত্তরাধিকারীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন। উত্তরাধিকারী ছিলেন হ্যার্ডিয়ান (পাবলিয়াস এইরিয়াস হাড্রিয়ানাস)। তিনি ট্রাজানের ভাগ্নে ছিলেন। হাড্রিয়ান ডেসিয়ান যুদ্ধের সময়ে প্রবলভাবে লড়াই করেছিলেন। তারপর ট্রাজানের এক নাতনিকে বিয়ে করেন। ট্রাজানের মৃত্যুর পরে কোনাে দ্বিমত ছাড়াই তিনি সিংহাসনে আরােহণ করেন। শুরুতেই সেনাদের বাড়তি বােনাস দিয়ে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেন। তিনশ বছর ধরে চলে আসা রােমান সাম্রাজ্যে দাড়ি-গোঁফ চেছে ফেলার নিয়ম উড়িয়ে দেন তিনি। তিনিই ছিলেন রােমান সাম্রাজ্যে প্রথম সম্রাট যার মুখভরা দাড়ি-গোঁফ ছিল।

ইতিহাস, সাহিত্য ও বিজ্ঞান-প্রকৌশল চর্চায় রৌপ্যযুগ 

এভাবে গ্রীকভাষী পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য দিন দিন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে থাকে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক অনটন ঘিরে ধরতে শুরু করে ল্যাটিনভাষী পশ্চিম ভাগকে। এমনকি পূর্ব সাম্রাজ্য তাদের আক্রমণ করা বর্বরদের লেলিয়ে দিতো পশ্চিমের দিকে! কনস্টান্টিন ও তার উত্তরসূরিরা নিশ্চিত করেছিলেন যেন পূর্ব রোমকে শত্রুর আক্রমণ থেকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়া যায়। কিন্তু পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের ব্যাপারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় নি। এভাবে ধীরে ধীরে পঞ্চম শতাব্দীতে পশ্চিম সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক কাঠামো একপ্রকার ভেঙেই পড়েছিলো। অন্যদিকে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের হাতে পতনের আগ পর্যন্ত টিকে ছিলো বাইজন্টাইন তথা পূর্ব সাম্রাজ্য।

ভিসিগথদের নেতা অ্যালারিক ও থিওডােরিক এবং ভিজিগথিক রাজ্যের প্রতিষ্ঠা

রোমান সমাজের উদারীকরণ ও রোমানদের ঘুরে দাঁড়ানো

রোম সাম্রাজ্যের উত্থান (শেষ পর্ব): অতীতের সমাপ্তি – নতুনের অভ্যুদয়

Report this page